Maize Seed Agritech-55 ( ভুট্টা বীজ এগ্রিটেক – ৫৫ )
৳ 805.00
ভুট্টা বীজ এগ্রিটেক—৫৫ এর প্রধান বৈশিষ্ট্যসমূহ :
অধিক ফলনশীল :সিঙ্গেল ক্রস হাইব্রিড বিধায় অধিক ফলনশীল। সঠিক চাষে রবি মৌসুমে ফলন, একর প্রতি ১৯৫ মন।
চাষ প্রণালী : জমির উপযোগিতার ভিত্তিতে রবি মৌসুমেই ( অক্টোবর —ডিসেম্বর ) চাষ করার উপযুক্ত সময়। দানার রং আকর্ষণীয় কমলা রংয়ের যা হাঁস মুরগি ও মাছের খাদ্য হিসেবে অন্যতম। সাধারণত গাছ প্রতি একটি পরিপূর্ন মোচা হয়। গাছের উচ্চতা মাঝারি (১৭৫ সে.মি —১৯০ সে.মি ) পাতা চওড়া ও গাঢ় সবুজ রংয়ের, গাছের কান্ড শক্ত, মজবুত ও হেলে পড়ে না কিন্তু খরা সহ্যও করতে পারে। রোগ বালাই ও পোকামাকড়ের আক্রমণ কম হয়।
Product Description
ভুট্টা বীজ এগ্রিটেক—৫৫ এর প্রধান বৈশিষ্ট্যসমূহ :
অধিক ফলনশীল :সিঙ্গেল ক্রস হাইব্রিড বিধায় অধিক ফলনশীল। সঠিক চাষে রবি মৌসুমে ফলন, একর প্রতি ১৯৫ মন।
চাষ প্রণালী : জমির উপযোগিতার ভিত্তিতে রবি মৌসুমেই ( অক্টোবর —ডিসেম্বর ) চাষ করার উপযুক্ত সময়। দানার রং আকর্ষণীয় কমলা রংয়ের যা হাঁস মুরগি ও মাছের খাদ্য হিসেবে অন্যতম। সাধারণত গাছ প্রতি একটি পরিপূর্ন মোচা হয়। গাছের উচ্চতা মাঝারি (১৭৫ সে.মি —১৯০ সে.মি ) পাতা চওড়া ও গাঢ় সবুজ রংয়ের, গাছের কান্ড শক্ত, মজবুত ও হেলে পড়ে না কিন্তু খরা সহ্যও করতে পারে। রোগ বালাই ও পোকামাকড়ের আক্রমণ কম হয়।
চাষাবাদ পদ্ধতি :
বীজের পরিমাণ : একর প্রতি ৬—৮ কেজি।
জমি নির্বাচন : সাধারণত বৃষ্টি বা সেজের পানি জমে না এমন উচ্চ জমি ভুট্টা চাষের জন্য নির্বাচন করা প্রয়োজন তবে ভুট্টা চাষের জন্য জমির মাটি উর্বর, দো—আঁশ ও পলি মাটি হলে ভালো হয়।
জমি তৈরি : জমি “জো” থাকা অবস্থায় জমি ও মাটির প্রকার ভেদে ৫ থেকে ৬ টি আরাড়াড়ি চাষ দিতে হবে। চাষের পর মই দিয়ে জমি সমতল করা প্রয়োজন।
বীজ বপন পদ্ধতি : ভুট্টা বীজ লাঙ্গল দিয়ে সারি টেনে বোনাই উত্তম। সাড়ি থেকে সাড়ির দূরত্ব ২২ থেকে ২৪ ইঞ্চি। গাছ থেকে গাছের দূরত্ব ৮ থেকে ১০ ইঞ্চি। বপনের গভীরতা ১ ইঞ্চি। প্রতি গর্তে বীজের সংখ্যা ১টি।
সার প্রয়োগ : ভুট্টা সার প্রিয় ফসল। পরিমাণ মতো সার পেলে তাড়াতাড়ি বেড়ে ওঠে। ভুট্টার জীবনকালের কোন পর্যায়ে খাদ্য উৎপাদনের ঘাটতি দেখা দিলে ফলন কমে যায়। জমি উর্বরতা ভেদে সারের মাত্রার কিছুটা তারতম্য হতে পারে। এক একর প্রতি সারের পরিমাণ নিম্নরূপ ঃ
সারের নাম |
ইউরিয়া | টি.এস.পি | এম.ও.পি | জিপসাম | দস্তা সার | বোরণ সার | ম্যাগনেসিয়াম সার |
একর প্রতি মাত্রা | ২০০ — ২২৫ কেজি | ৯০—১১২ কেজি | ৯০—১১২ কেজি | ৬০—৭৫ কেজি | ৫ কেজি | ৫ কেজি |
৬ কেজি |
ভুট্টা গাছকে সুস্থ রাখতে এবং অধিক ফলনের জন্য বীজ গজানোর ৩০ থেকে ৪০ দিনের মধ্যে একর প্রতি ১ কেজি সালফার স্প্রে করুন।
সার প্রয়োগের নিয়ম : ইউরিয়া সারের এক তৃতীয় অংশ ৭৫ কেজি ও অন্যান্য সব সার সময় মাটিতে মিশিয়ে দিতে হবে। বাকি ইউরিয়ার অর্ধেক অর্থাৎ ৭৫ কেজি বীজ ভবনের ৩০ থেকে ৩৫ দিন পর গাছের ৮ থেকে ১০ পাতা অবস্থায় প্রয়োগ করতে হবে এবং অবশিষ্ট ৭৫ কেজি ৬০—৭০ দিন পর গাছের ১৬ থেকে ১৮ পাতা অবস্থায় প্রয়োগ করতে হবে। সারির পার্শ্বে গাছের গোড়া হতে চার থেকে পাঁচ ইঞ্চি দূরে ইউরিয়া ছড়িয়ে গাছের গোড়ায় মাটি দিয়ে সার ঢেকে দিতে হবে। সার প্রয়োগের সময় জমিতে রস থাকা দরকার।
সেচ ব্যবস্থাপনা : ভুট্টা জলাবদ্ধতা সহ্য করতে পারে না। ১২ঘন্টার বেশি সময় বৃষ্টি বার সেচের পানি জমে থাকলে ফসলের ক্ষতি হয়। জমির প্রকার ভেদের তিন থেকে চারবার শেষ দেওয়া প্রয়োজন। প্রথম সেচ বীজ বপণের ৩০ থেকে ৩৫ দিন পর। দ্বিতীয় সেচ ৬০ থেকে ৭০ দিন পর। তৃতীয় সেচ বীজ ভবনের ৮৫ থেকে ৯০ দিন পর। (প্রয়োজনবোধে )
বালাই ব্যবস্থাপনা : আগাছা দমন : ভুট্টার জমিতে আগাছা উপদ্রপ দেখা যায়। এক্ষেত্রে প্রথম ইউরিয়া প্রয়োগের পূর্বে নিরানি ও ছোট কোদাল দিয়ে হালকা ভাবে কুপিয়ে এসব আগাছা দমন করে তারপর সাল ও পানি সেচ দিতে হবে।
পোকা দমন : ভুট্টার প্রধান প্রধান পোকা মধ্যে রয়েছে কাটুই পোকা, মাজরা পোকা। কাটই পোকা সফলভাবে দমনের জন্য ক্যারাটে অনুমোদিত মাত্রায় প্রয়োগ করতে হবে। ভুট্টার পোকা দমনের জন্য বিরতাকো অনুমোদিত মাত্রায় করতে হবে।
ফসল সংগ্রহ ও মারাই : দানার জন্য পাকা মোচা গাছ থেকে তুলতে হবে । মোচা খরের রং করে পাতা কিছুটা হলুদ এবং মোচা থেকে ছড়ানো বীজের গোড়ায় কালো দাগের দেখা দিলে বোঝা যাবে মোচা পেকেছে। জলীয় অংশ কমাতে কয়েক দিন ফসল জমিতে রেখে রোদে শুকিয়ে নিতে হবে, এ ক্ষেত্রে মোচা পরিপক্ক হলেই গাছের কান্ড মোচার উপরিভাগ থেকে কেটে ফেললে দ্রুত মোচা শুকিয়ে যাবে । মোচা সংগ্রহের পর খোসা ছাড়িয়ে তিন থেকে চার দিন শুকাতে হবে। মারাই যন্ত্রের সাহায্যে ( কর্ণ শেলার ) দানা আলাদা করে আবার রোদে শুকাতে হবে।
Weight | 1 kg |
---|